সুনামগঞ্জ , শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫ , ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
‎জামালগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা দেখার হাওর ঢেকে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে উকিলপাড়ায় পাইপলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস নির্গমন : দুর্ঘটনার আশঙ্কা দুর্গাপূজা : মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য পূজামন্ডপ পরিদর্শন করলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি ৩ ফার্মেসিকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা পথে যেতে যেতে: পথচারী সুনামগঞ্জ পৌর শহরে স্পিডব্রেকারগুলো যেন মরণফাঁদ! ‎জামালগঞ্জে 'উন্নতি সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতির' শিক্ষা উপকরণ ও  বস্ত্র বিতরণ সুনামগঞ্জে 'ধর্ষণ মামলায়' আসামিদের শাস্তির দাবিতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন নির্বাচনের প্রস্তুতি অনেক এগিয়ে নিয়েছি : সিইসি আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদন্ড আজীবন জনগণের সেবা করতে চাই : পাবেল চৌধুরী ফার্মেসিতে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে ‘ফিজিশিয়ান স্যাম্পল’ সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জামালগঞ্জে জগন্নাথ জিউর মন্দির পরিদর্শনে এমপি প্রার্থী মাহবুব সীমান্তের ৩৫ পূজামন্ডপে বিজিবি’র বাড়তি সতর্কতা, ৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন শিগগিরই গঠন হচ্ছে নতুন ২ বিভাগ ও ২ উপজেলা মহাসড়কে অটোরিকশা ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করতে হবে

সুনামগঞ্জ পৌর শহরে স্পিডব্রেকারগুলো যেন মরণফাঁদ!

  • আপলোড সময় : ৩০-০৯-২০২৫ ০৬:২৬:২১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩০-০৯-২০২৫ ০৬:২৬:২১ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জ পৌর শহরে স্পিডব্রেকারগুলো যেন মরণফাঁদ!
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জ পৌর শহরের অপরিকল্পিত স্পিডব্রেকারগুলো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। শহরের প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলিতেও স্থাপন করা হয়েছে স্পিডব্রেকার। দ্রুতগতি নিয়ন্ত্রণের জন্য তৈরি এই প্রতিবন্ধকগুলোই এখন দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌর শহরের বিহারী পয়েন্ট থেকে এসসি স্কুল পর্যন্ত মাত্র এক কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে চারটি স্পিড ব্রেকার। এছাড়া, মরাটিলা রোডে চারটি, কালীবাড়ি, জামাইপাড়া, শান্তিবাগ ও নতুনপাড়া এলাকায় একাধিক এবং সড়ক ও জনপথ অফিসের সামনে থেকে জেলা পরিষদ পর্যন্ত অন্তত ছয়টি স্পিডব্রেকার দেখা গেছে। এই ¯িপডব্রেকারগুলোর অধিকাংশই কোনো নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়নি। এগুলো এত উঁচু যে, দ্রুত গতিতে আসা গাড়ি বা মোটরসাইকেল হঠাৎ ঝাঁকুনি খায়, যা অনেক সময় চালককে নিয়ন্ত্রণ হারাতে বাধ্য করে। সড়ক নিরাপত্তার জন্য স্পিডব্রেকার গুরুত্বপূর্ণ হলেও, সেগুলো অবশ্যই মানসম্মত এবং পরিকল্পিত হতে হবে। কিন্তু পৌর শহরে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতনমহল। তাঁরা বলছেন, দুর্ঘটনা এড়াতে অপরিকল্পিত ¯িপডব্রেকারগুলো অপসারণ করা উচিত। পাশাপাশি পরিকল্পিতভাবে ¯িপডব্রেকার স্থাপন করতে হবে। এগুলোতে উজ্জ্বল রঙের চিহ্ন দিয়ে দৃশ্যমান করার ব্যবস্থা করাও জরুরি। তা না হলে, এই অপরিকল্পিত ¯িপডব্রেকারগুলোই সড়কে নিত্যনতুন দুর্ঘটনার জন্ম দেবে। মোটরসাইকেল চালক আবিদুর মিয়া বলেন, এই ¯িপডব্রেকারগুলো রাতের অন্ধকারে বা বৃষ্টির সময় একেবারেই চোখে পড়ে না। হঠাৎ করে গাড়ির সামনে এলে ব্রেক করতে হয়। এতে প্রায়ই পেছনের গাড়ি এসে ধাক্কা দেয়। বিশেষ করে, মোটরসাইকেল চালকদের জন্য এই পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক। শুধু দুর্ঘটনা নয়, এই ¯িপডব্রেকারগুলোর কারণে গাড়ির যন্ত্রাংশও দ্রুত নষ্ট হচ্ছে। তেঘরিয়ার বাসিন্দা সোহেল রহমান বলেন, যত্রতত্র ¯িপডব্রেকারগুলো চলাচলের বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলো অপসারণ করা দরকার। সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক কবির মিয়া বলেন, শহরের ভেতরে এতো ¯িপডব্রেকার, বারবার ব্রেক করতে হয়। অনেক সময় চোখেই পড়ে না এসব, যার কারণে গতি তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। নির্দিষ্ট পরিমাণ উচ্চতা দিয়ে অথবা সড়ক আইন অনুসরণ করে এসব ¯িপডব্রেকার স্থাপন করার দাবি জানাই। মোটরসাইকেল চালক তৌসিফ রাহী বলেন, অপ্রয়োজনীয় স্পিডব্রেকারগুলো অপসারণ করা দরকার। কারণ, যত্রতত্র কোনো ধরনের নিয়ম অনুসরণ না করে যেগুলো স্থাপন করা হয়েছে। এতে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। নির্দিষ্ট দূরত্ব এবং উচ্চতা অনুযায়ী ¯িপডব্রেকার স্থাপন করে তাতে উজ্জ্বল রং করে দেওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ বলেন, স্থানীয়দের চাহিদার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন স্থানে স্পিডব্রেকার স্থাপন করা হয়েছে। যেগুলো স্থাপন করার কথাও না। তবে, জেলা প্রশাসন যদি এসব স্পিডব্রেকার অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে আমরা একদিনের মধ্যে সেগুলো সরিয়ে দেব।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স